সাংসদ পরিচিতিঃ
খান বাহাদুর ফরিদ আহমদ সময় কাল ১৯৪৬-৫৪ ইংরেজী খান বাহাদুর ফরিদ আহমদ চৌধুরী ১৯০৮ সালের ২২শে জুলাই রাউজানের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভায় ফটিকছড়ি-রাউজান হাটহাজারী আসনে পূর্ব বঙ্গীয় মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে এম,এল,এ নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাটহাজারীর ব্যারিষ্টার সানা উলাহ্। মুসলিম লীগের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচণী কর্মসূচী। মূলতঃ আজাদী আন্দোলনই তার মুখ্য নির্বাচনী কর্মসূচী ছিল। তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় লোকজনের উপর ইংরেজদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ইংরেজ প্রদত্ত খানা বাহাদুর ও এম,এল,এ পদ প্রত্যাখান করেন। তিনি এলাকায় অনেক জনহিতকর কাজ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ জানুয়ারী নিঃসন্তান অবস্থায় ইনতেকাল করেন।
মরহুম এ.কে. খান ঃ
মওলানা ওবাইদুল আকবর ঃ
শ্রী পুর্ণেন্দু দস্তিদার ঃ
সময় কাল- ১৯৫৪-৫৮ ইংরেজী প্রবীন রাজনীতিবিদ শ্রী পূর্ণেন্দু দস্তিদার ১৯০১ সালে পটিয়া থানার ধলঘাট গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অল ইন্ডিয়া কমুনিষ্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম উত্তর মহকুমার হিন্দু আসনে এম.পি.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি মিজোরাম শরণার্থী ক্যাম্পে মারা যান।
মির্জা আবু আহমদ ঃ
সময় কাল- ১৯৬২-৬৫ ইংরেজী, ১৯৬৫-৭০ ইংরেজী বিশিষ্ট বাঙ্গালি শিল্পপতি, মির্জা আবু আহমদ ১৯১১ সালে ফটিকছড়ি থানার নানুপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ফটিকছড়ি-হাটহাজারী আসনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এম.পি.এ নির্বাচিত হন। পরবর্তী ১৯৬৫ সালেও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ফটিকছড়ি-মিরশ্বরাই আসনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিশ লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এম.পি.এ নির্বাচিত হন। দীর্ঘ সংসদীয় জীবনে তিনি হাটহাজারী-নাজিরহাট- সড়ক ও নাজিরহাট-ফটিকছড়ি সড়ক সংস্কার ও সমপ্রসারণ করেন। এছাড়া ধুরুং, লেলাং, হালদা ব্রীজ নির্মাণ, নানুপুর গার্লস হাইস্কুল, ফটিকছড়ি কলেজ, গাউছিয়া মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এছাড়াও তিনি বহু জনহিতকর কাজ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ইন্তে-কাল করেন।
আলহাজ্ব নুরুল আলম চৌধুরী সময়কালঃ
১৯৯৩-৭৫ ইংরেজী, ১৯৮৬-৮৭ ইংরেজী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নুরুল আলম চৌধুরী ১৯৪৫ সালে ফটিকছড়ি গোপালঘাটা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচী। তিনি দ্বিতীয় বার ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসন হতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পুনরায় এম.পি নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর সময়কাল নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুদান, সড়ক নির্মাণ সংস্কার ও সমপ্রসারণ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে নেতৃত্বে দেন।
জামাল উদ্দিন আহমদ সময়কালঃ
১৯৭৯-৮২ ইংরেজী প্রবীণ রাজনীতিবিদ জামাল উদ্দিন আহমদ ১৯৩২ সালের ১ মার্চ ফটিকছড়ির দৌলতপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচী। তিনিই একমাত্র চাটগাঁবাসী দেশের শাসনামলে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান। এসময় তিনি শিল্পমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি তার সময়কালে রাস্তা নিমার্ণ, সমপ্রসারণ, সংস্কার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদানসহ অনেক জনহিতকর কাজ করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। মজাহারুল হক শাহ্ চৌধুরী সময়কাল: ১৯৮৮-৯০ ইংরেজী মজাহারুল হক শাহ্ চৌধুরী ১৯৫৫ সালের ১ অক্টোবর ফটিকছড়ি পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন। জাসদের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচী। তিনি তার সময়কালে গহিরা-হেঁয়াকো সড়কটির জনপথ বিভাগে অন্তর্ভূক্তি ও বরাদ আদায়, হালদা নদীতে সেতু নির্মাণ, পল্লী বিদ্যুতের ষ্টেশন চালু, চট্টগ্রাম-ফটিকছড়ি গ্যাসলাইন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দানের ব্যবস্থা নেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
আলহাজ্ব নুরী আরা ছাফা:
১৯৪৭ সালের পটিয়া থানার আলমদার গ্রামে সম্ভ্র্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম উত্তর মহিলা আসনে মহিলা এম.পি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এ সংসদ তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিল পাশের সাথে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা বিএনপির আহবায়ক। তিনি বিএনপি নেতা ক্যাপটেন (অবঃ) এম.এন ছাপার সহধর্মিনী।
আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ার ঃ
১৯৯৬-২০০০ ইংরেজী বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ার ১৯৯৫সালের ১২জানুয়ারী ফটিকছড়ির নানুপুওের ডালকাটা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবােও জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগহ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২জুন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বিগত ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় ফটিকছড়ি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।
আলহাজ্ব সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীঃ
২০০৮ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দণ্ডাদেশ অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর আলহাজ্ব সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সময়কাল:
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ১৯৫৬ সালে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারের আজিমনগর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মাইজভান্ডার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন।আওয়ামীলীগ দলীয় নেমিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচী। তিনি ১৯৯৫ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন এবং এ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে ্দ্বায়িত্ব পালিন করছেন।