ফটিকছড়ির ইতিহাস ও ঐতিহ্য

সাংসদ পরিচিতিঃ 

১৯৪৬ সাল হতে ২০০৮ হতে একটানা ৬২ বছর অর্ধ শতাব্দী বৃটিশ শাসনামলের রাষ্ট্রীয় পরিষদ হতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ দীর্ঘ পথ পরিক্রমা বৃটিশের লর্ড ষ্টাফোর্ড হতে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কাল হতে আধুনিক বিজ্ঞান যুগ দীর্ঘ পত্র যাত্রায় উপ-মহাদেশের অঞ্চল দুদুবার স্বাধিনতা লাভ করে প্রথমবার বৃটিশ কবল মুক্ত হয় ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বার পাকিস্তানের দুঃশাসন মুক্ত হয় ১৯৭১ সালে দীর্ঘ পরিক্রমায় এদেশের মানুষ বৃটিশ আমলের সর্বশেষ একটি আইন সভা, পাকিস্তান আমলের ছয়টি জাতীয় পরিষদ প্রাদেশিক আইন পরিষদ আর বাংরাদেশ আমলের সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সম্মুখীন হয়েছে আইন সভা/ পরিষদ/ সংসদ হলো দেশের বা জাতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ফোরাম একটি এলাকার বিশিষ্ট সন্তানেরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আইন সভায় যান সচেতন সমাজকর্মী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ফোরামে যাবার জন্য একটি সুকঠিন নির্বাচনী বৈতরণী পার হন নির্বাচন যুদ্ধে একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী আসনের দুহতে তিন লক্ষ নরনারী ভোটে অংশ নেন সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীই শুধু বিজয় মালা গলায় পরেন নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ট ভোট প্রাপ্তির মাধ্যমে একটি দল বা ব্যক্তি বা ম্যানিফেষ্ট মূলতঃ জয় লাভ করে কোন কোন ক্ষেত্রে নির্বাচিত ব্যক্তি গৌন হয়ে যান কোন কোন ক্ষেত্রে নির্বাচিত ব্যক্তি গৌন হয়ে যান দলই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় আবার দেখা যায় নির্বাচিত ব্যক্তি পরবর্তীতে মুল জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন জনগণ তাকে আর খুঁজে পায় না দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ফটিকছড়িতে সার্বিক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি জনগণের জীবন ধারায় মৌলিক কোন পরিবর্তন আসেনি তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার হার সামান্য বাড়লেও আশানুরূপ বাড়েনি আজ পর্যন্ত থানায় নারী শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে পৃথক কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ/মাদ্রাসা) গড়ে উঠেনি এখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সরকারী করণ হয়নি কৃষকের হালের বলদ কমে গেছে জমি ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে কৃষকদের ধানের গোলা উঠে গেছে নবান্নের পিঠে খাওয়া জনগণ ভুলেই গেছে বাড়ির পার্শ্বের রাস্তা বা খালের সংস্কার হয়নি জনগণ হালদা, ধুরুং, লেলাং, কংকাইয়া, ফটিকছড়ি, তেল পারই, বারমাসিয়ার ভাঙ্গন হতে রক্ষা পায়নি বনের পশু পাখি জীবজন্তুু হানাদার মানুষের ভয়ে পালিয়ে গেছে সময় আইন শৃঙ্খলাবস্থা চরমভাবে পতিত হয়েছে জনগণ এখনও প্রভাবশালীদের জোর জুলুমের শিকার হয়ে সীমাহীন দুঃখ কষ্টে দিনাতিপাত করছেবিগত পঞ্চাশ বছরে ঘটে যাওয়া নির্বাচন সমূহ এলাকার সঠিক ভাগ্য পরিবর্তনে উলে­খযোগ্য কোন অবদান রাখতে পারেনিজনগণের ভাগ্য লিপি জগদ্দল কালো পাথরে আটকা পড়ে আছেএ সময় ফটিকছড়িবাসী সম্মানীত সাংসদের নিকট হতে অনেক সুন্দর সুন্দর নির্বাচনী গল্প/ মেনিফেষ্টো/ ওয়াদা শুনেছেনকিন্তু রাজনদের গল্পই সার।  দীর্ঘ পদ যাত্রার অতীত হয়ে যাওয়া জাতীয় নির্বাচন সমূহের সার্বিক অবস্থা, প্রেক্ষাপট, প্রার্থীদের দলীয় পরিচিতি জনগণের সাথে তাদের সম্পর্ক, তাদের অবদান, ব্যর্থতা বক্ষমান প্রতিবেদনে বিশে­ষণ করেছিএ দীর্ঘ ৫০ বছরে ফটিকছড়ি কেন্দ্রিক/ফটিকছড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ১৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে, বেঁচে নেই ৫ জন
খান বাহাদুর ফরিদ আহমদ সময় কাল ১৯৪৬-৫৪ ইংরেজী খান বাহাদুর ফরিদ আহমদ চৌধুরী ১৯০৮ সালের ২২শে জুলাই রাউজানের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভায় ফটিকছড়ি-রাউজান হাটহাজারী আসনে পূর্ব বঙ্গীয় মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে এম,এল,এ নির্বাচিত হনতার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাটহাজারীর ব্যারিষ্টার সানা উল­াহ্‌মুসলিম লীগের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচণী কর্মসূচীমূলতঃ আজাদী আন্দোলনই তার মুখ্য নির্বাচনী কর্মসূচী ছিলতিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় লোকজনের উপর ইংরেজদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ইংরেজ প্রদত্ত খানা বাহাদুর ও এম,এল,এ পদ প্রত্যাখান করেনতিনি এলাকায় অনেক জনহিতকর কাজ করেনতিনি ১৯৭৫ সালের ৭ জানুয়ারী নিঃসন্তান অবস্থায় ইনতেকাল করেন

মরহুম এ.কে. খান ঃ

সময় কাল ১৯৪৬-৫৪ ইংরেজী, ১৯৬২-৬৪ ইংরেজী বিশিষ্ট বাঙ্গালী মুসলিম শিল্পপতি এ.কে. খান ১৯০৫ সালে চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানার মোহরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেনতিনি ১৯৪৬ সালে ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম উত্তর মহকুমা আসন হতে গভর্ণর জেনারেল কর্তৃক গণ পরিষদে এম.সি.এ নির্বাচিত হনতিনি এপদে ১৯৫৪সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেনপাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনায় তার উলে­খ্যযোগ্য ভুমিকা ছিলোপরবর্তীতে তিনি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ফটিকছড়ি-হাটহাজারী-পাঁচলাইশ-বোয়ালখালী আসন হতে  এম,এন,এ নির্বাচিত হনতিনি ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের মন্ত্রী সভায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা, বিদ্যুৎ, পূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন  তিনি এলাকায় অনেক জনহিতকর কাজ করেনউলে­খ্য, ফটিকছড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবী আবদুল বারী চৌধুরী তার শাশুরএ.কে.খান ১৯৯১ সালের ৩১শে মার্চ সালে ইনতিকাল করেন

মওলানা ওবাইদুল আকবর ঃ

সময় কাল- ১৯৫৪-৫৮ ইংরেজী বিশিষ্ট আলেম মওলানা ওবাইদুল আকবর ১৯১৫ সালে হাটহাজারীর মন্দাকিনী গ্রামে এক সম্ভ্র্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতার পিতা মরহুম মওলানা বজলুর রশীদতিনি ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ফটিকছড়ি আসনে পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যুক্ত ফ্রন্ট হতে এম.পি.এ নির্বাচনী হনব্যক্তিগত ও দলীয় মেনিফোষ্টা ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচীতিনি তার সময়কাল ফটিকছড়ির ধুরুং ইউনিয়নে ইরি প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশ নেনতিনি পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেনতিনি ১৯৭২ সালের ৯ আগষ্ট ইন্তেকাল করেন


শ্রী পুর্ণেন্দু দস্তিদার ঃ

সময় কাল- ১৯৫৪-৫৮ ইংরেজী প্রবীন রাজনীতিবিদ শ্রী পূর্ণেন্দু দস্তিদার ১৯০১ সালে পটিয়া থানার ধলঘাট গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি অল ইন্ডিয়া কমুনিষ্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম উত্তর মহকুমার হিন্দু আসনে এম.পি.এ নির্বাচিত হন১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি মিজোরাম শরণার্থী ক্যাম্পে মারা যান


মির্জা আবু আহমদ ঃ

সময় কাল- ১৯৬২-৬৫ ইংরেজী, ১৯৬৫-৭০ ইংরেজী বিশিষ্ট বাঙ্গালি শিল্পপতি, মির্জা আবু আহমদ ১৯১১ সালে ফটিকছড়ি থানার নানুপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ফটিকছড়ি-হাটহাজারী আসনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এম.পি.এ নির্বাচিত হনপরবর্তী ১৯৬৫ সালেও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ফটিকছড়ি-মিরশ্বরাই আসনে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিশ লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এম.পি.এ নির্বাচিত হনদীর্ঘ সংসদীয় জীবনে তিনি হাটহাজারী-নাজিরহাট- সড়ক ও নাজিরহাট-ফটিকছড়ি সড়ক সংস্কার ও সমপ্রসারণ করেনএছাড়া ধুরুং, লেলাং, হালদা ব্রীজ নির্মাণ, নানুপুর গার্লস হাইস্কুল, ফটিকছড়ি কলেজ, গাউছিয়া মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেনএছাড়াও তিনি বহু জনহিতকর কাজ করেনতিনি ১৯৭৬ সালে ইন্তে-কাল করেন

আলহাজ্ব নুরুল আলম চৌধুরী সময়কালঃ

১৯৯৩-৭৫ ইংরেজী, ১৯৮৬-৮৭ ইংরেজী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, নুরুল আলম চৌধুরী ১৯৪৫ সালে ফটিকছড়ি গোপালঘাটা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হনবাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচীতিনি দ্বিতীয় বার ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসন হতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পুনরায় এম.পি নির্বাচিত হনতিনি তাঁর সময়কাল নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুদান, সড়ক নির্মাণ সংস্কার ও সমপ্রসারণ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে নেতৃত্বে দেন। 

জামাল উদ্দিন আহমদ সময়কালঃ 

১৯৭৯-৮২ ইংরেজী প্রবীণ রাজনীতিবিদ জামাল উদ্দিন আহমদ ১৯৩২ সালের ১ মার্চ ফটিকছড়ির দৌলতপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হনবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচীতিনিই একমাত্র চাটগাঁবাসী দেশের শাসনামলে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পানএসময় তিনি শিল্পমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেনতিনি তার সময়কালে রাস্তা নিমার্ণ, সমপ্রসারণ, সংস্কার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদানসহ অনেক জনহিতকর কাজ করেনবর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দুই কন্যা সন্তানের জনকমজাহারুল হক শাহ্‌ চৌধুরী সময়কাল: ১৯৮৮-৯০ ইংরেজী মজাহারুল হক শাহ্‌ চৌধুরী ১৯৫৫ সালের ১ অক্টোবর ফটিকছড়ি পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হনজাসদের মেনিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচীতিনি তার সময়কালে গহিরা-হেঁয়াকো সড়কটির জনপথ বিভাগে অন্তর্ভূক্তি ও বরাদ আদায়, হালদা নদীতে সেতু নির্মাণ, পল্লী বিদ্যুতের ষ্টেশন চালু, চট্টগ্রাম-ফটিকছড়ি গ্যাসলাইন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দানের ব্যবস্থা নেনবর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য

আলহাজ্ব নুরী আরা ছাফা: 

১৯৪৭  সালের পটিয়া থানার আলমদার গ্রামে সম্ভ্র্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনতিনি ১৯৯৬ সালে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়িসহ চট্টগ্রাম উত্তর মহিলা আসনে মহিলা এম.পি নির্বাচিত হন১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এ সংসদ তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিল পাশের সাথে বিলুপ্ত হয়ে যায়তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা বিএনপির আহবায়কতিনি বিএনপি নেতা ক্যাপটেন (অবঃ) এম.এন ছাপার সহধর্মিনী

আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ার ঃ

১৯৯৬-২০০০ ইংরেজী বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ার ১৯৯৫সালের ১২জানুয়ারী ফটিকছড়ির নানুপুওের ডালকাটা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবােও জন্ম গ্রহণ করেনতিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগহ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২জুন অনুষ্ঠিত হয়এ ছাড়াও বিগত ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় ফটিকছড়ি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। 

আলহাজ্ব সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীঃ

২০০৮ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দণ্ডাদেশ অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর আলহাজ্ব সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়।


সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সময়কাল:

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ১৯৫৬ সালে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারের আজিমনগর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মাইজভান্ডার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের ফটিকছড়ি আসনে এম.পি নির্বাচিত হনআওয়ামীলীগ দলীয় নেমিফেষ্টো ছিল তার নির্বাচনী কর্মসূচী। তিনি ১৯৯৫ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন এবং এ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে ্দ্বায়িত্ব পালিন করছেন